তসলিম সিকদার, পটুয়াখালী আওয়ামী রাজনীতির এক যোগ্য উত্তরসূরী! Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




তসলিম সিকদার, পটুয়াখালী আওয়ামী রাজনীতির এক যোগ্য উত্তরসূরী!

তসলিম সিকদার, পটুয়াখালী আওয়ামী রাজনীতির এক যোগ্য উত্তরসূরী!




 

পটুয়াখালী থেকে ফিরে এসে ,এইচ এম হেলাল //
আপামর জনতার রাজনীতি বহন করে চলা আওয়ামী লীগ সূদীর্ঘ ৭০ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের স্বাক্ষর। ১৯৪৭’র ভারত বিভক্তির পর উপমহাদেশের রাজনীতির নয়াÑমেরুকরনে স্বল্পসংখ্যক যে কজন গণমানুষের নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিলেন যে, হাতমে বিড়ি মুখমে পান লড়কে লেঙ্গে পাকিস্থানের এ আজাদী এতদ্অঞ্চলের শ্রমিক কৃষক, মেহনতি মানুষ তথা ছাত্র-জনতার কোন স্বাধীনতা নয়, বরং বৃটিশ শাসন-শোষনের বদলে নতুন করে গোলামীর বন্দোবস্ত আর্থ-সামাজিক-রাজনীতি- শিক্ষা, চাকুরি, শিল্প,সাহিত্য,সাংস্কৃতি সর্বত্র- তাদের মধ্যে অগ্রগন্য একজন নেতৃত্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন সিকদার।

বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের মতই তার কিংবদন্তীতূল্য রাজনৈতিক জীবন। ১৯৪৯ সনে পটুয়াখলী মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে জননেতা জয়নাল আবেদীন সিকদার তার রাজনৈতিক অগ্রযাত্রা শুরু করেন। তিনি ছিলেন কারাবরনকারী ভাষা সৈনিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মী হিসাবে জয়নাল আবেদীন সিকদার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম পরিষদের সংগ্রামী সদস্য ছিলেন। ১৯৯৩ সালে মৃত্যূর পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য থেকে আওয়ামীলীগের সকল কর্মকান্ডে অংশ নেন.. হে পিতা চন্দ্রভূক অমাবস্যা পাড় হয় পড়ে থাকে দগ্ধ শষ্যক্ষেত, ভাঙ্গনের শব্দ শোনায় উপকুল, ফের গ্রহন লাগা বাংলার জমিনে দাড়ায় তোমার সন্তানরা.. প্রয়াত জননেতা মোঃ জয়নাল আবেদীন সিকদারের সুযোগ্য সন্তান মোঃ তসলিম সিকদার। জেলা কৃষক লীগের বর্তমান সভাপতি।

পদমর্যাদার ব্যপ্তি অতিক্রান্ত নেতৃত্ব তসলিম সিকদার ১৯৭২ সালে পটুয়াখালী সদর থানার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন, ১৯৭৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের পরবর্তীতে দেশ,জাতি,রাজনীতির ক্রান্তিকালীন সময়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিটি আন্দোলন -সংগ্রামে তসলিম সিকদারের ছিলো বলিষ্ঠ অংশগ্রহন। যার দরুন তাকে কারাবরন করতে হয় ৭৫ পরবর্তী দুঃশাসকদের লৌহপ্রকোষ্ঠে। মুক্ত হয়ে ১৯৭৮ সালের দিকে ছাত্রলীগ(কাদেরÑচুন্নু)’এর জাতীয় পরিষদের সদস্য হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।

১৯৮৯ সালে পটুয়াখালী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদে জিএস নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাসহ ছাত্রলীগের সকল আন্দোলনে অংশগ্রহন করেন তিনি। এসবের ধারাবাহিকতায় ১৯৯২ সালে পটুয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে মুলধারার রাজনীতিবিদ হিসাবে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকেন। ২০০৭ সাল হতে জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হিসাবে বিশেষ করে গলাচিপা- দশমিনা এলাকায় আওয়ামী লীগ এবং কৃষক লীগের সাংগঠনিক দ্বায়িত্ব পালন করেন এবং অবহেলিত কৃষকসহ সর্বস্তরের জনগনের সাথে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন। সামাজিকভাবে অত্যন্ত সজ্জ্বন ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত মোঃ তসলিম সিকদার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও কার্যকরভাবে জড়িত।

এক আলোচনায় মোঃ তসলিম সিকদার বলেন, ১৯৬৪ সালের ১৯শে অক্টোবর আমার পিতা মোঃ জয়নাল আবেদীন সিকদারকে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি পত্র দেন যা এখন কালের স্বাক্ষী। অর্থাৎ বলতে চাচ্ছি রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই এটা সম্পূর্ন কোন সত্য নয় বরং রাজনীতির পরম্পরা, উত্তরসূরীতা বলে যে ধারনা সেটাই শক্ত ভিত্তিমূলে স্থাপিত। এবং যা বাঙ্গালী জাতির মহান মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নৈতিক, মতাদর্শগত অবস্থান নেয় সে সবেরই স্থায়ীত্ব। দক্ষিন-বাংলার আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক জননেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র বিচক্ষন রাজনীতি এতদ্অঞ্চলের ত্যাগীÑপরিক্ষীত নেতাদেরকে এখন যেমন পথ দেখাচ্ছে আগামীতেও পথ দেখাবে।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বিগত ১৯৯৬ সাল থেকে মোঃ তসলিম সিকদার পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা- দশমিনা) আসন থেকে মনোনয়নের জন্য স্বচ্ছ এবং সঙ্গত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আসন্ন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোঃ তসলিম সিকদার গলাচিপা-দশমিনা আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD